ভিক্টোরিয়া ক্লাবে মিললো নগদ টাকা ক্যাসিনো সরঞ্জাম
রাজধানীর ভিক্টোরিয়া ক্লাবে অভিযান চালিয়ে নগদ এক লাখ টাকা, মদ, বিয়ার, জুয়া ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এক সঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান চলছে। এর মধ্যে ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে নগদ এক লাখ টাকা, মদ, বিয়ার, ক্যাসিনো ও জুয়া বোর্ডের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ক্লাবের ভেতরের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে এখানে নিয়মিত ক্যাসিনো বসতো।
কেউ গ্রেফতার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই যেহেতু অভিযান চলছে। তাই সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ক্লাবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্লাবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।
শুক্রবার রাতেই র্যাবের অভিযান পরিচালিত হয় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে। আটক করা হয় ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে। অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট গন্ধহীন হলুদ রঙের ইয়াবাসহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জব্দ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস। র্যাবের ধারণা, এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো।
ওই রাতেই রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেটি বন্ধ থাকায় সেখানে থাকা বারটি সিলগালা করে দেন র্যাব সদস্যরা।